বাউফলে মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ঘুষ ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ
মোঃ দেলোয়ার হোসেন, বাউফলঃ পটুয়াখালীর বাউফলে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নাজমুল হকের বিরুদ্ধে ঘুষ ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে । এব্যাপারে উপজেলার কনকদিয়া ইউনিয়নের নিজাম উদ্দিন চৌধুরী নামে এক শিক্ষক ডাকযোগের মাধ্যমে বিভিন্ন দপ্তরে শিক্ষা কর্মকর্তা নাজমুল হকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানায়,শিক্ষা কর্মকর্তা নাজমুল হক উপজেলার বিভিন্ন মাদ্রাসা থেকে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ কর্ণারের নির্মানের জন্য প্রত্যয়নপত্রের,জন্য ৫ হাজার টাকা করে ঘুষ গ্রহন করে । এমপিও ছাড়, উচ্চতর গ্রেডের ক্ষেত্রে ১০ হাজার থেকে ২০ হাজার টাকা এবং শিক্ষক ও কর্মচারীদের নিয়োগে ৩০ হাজার টাকা থেকে ৫০ হাজার টাকা ঘুষ গ্রহন করে কাগজে স্বাক্ষর করেন । তার নির্ধারিত ঘুষের টাকা না দিলে ফাইল উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট ফরওয়ার্ড করেন না ।
নতুন কারুকলমের বিষয়ের উপরে মাধ্যমিক পর্যায়ের উপজেলায় ৬৯৬ জন শিক্ষকদের শিক্ষাক্রম বিস্তরণ বিষয়ক প্রশিক্ষণের জন্য ৫ লাখ ৩৩ হাজার ৩ শত টাকা বরাদ্ধ আসে । বরাদ্বের ৩ লাখ ৩৪ হাজার ২ শত ৪৬ টাকা খরচ হয় । বাকী ১লাখ ৯৯ হাজার ৫৪ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ ওঠেছে শিক্ষা কর্মকর্তা নাজমুল হকের বিরুদ্ধে । প্রশিক্ষনার্থীদের কলম,প্যাড, ফোল্ডার ৯৩হাজার ৯শত ৬০ টাকা, নাস্তা ২৯ হাজার ৯৪ টাকা, প্রশিক্ষণের স্থান (ভেন্যু ব্যবস্থাপনা ) ৫৫ হাজার টাকা, ডাটা এন্টি ৬ হাজার টাকা সাপোট স্টাফ ১৫ হাজার টাকা খরচ না করে শিক্ষা কর্মকর্তা নিজে আত্মসাত করেছেন ।
গত ৩ জানুয়ারি একই অফিসের অফিস সহকারি জালাল উদ্দিন আহমেদ্দ একটি মাদ্রাসার প্রত্যয়নপত্র প্রস্তত করে শিক্ষা কর্মকর্তা নাজমুল হকের নিকট স্বাক্ষর নেয়ার জন্য গেলে ঘুষ দাবী করলে, জবাবে জালাল উদ্দিন বলেন, মাদ্রাসাটি তার গ্রামের তাই কোন টাকা পয়য়া চাইতে পারি না । কিন্ত কোন টাকা ছাড়া ওই প্রত্যয়নপত্রে শিক্ষা কর্মকর্তা নাজমুল হক স্বাক্ষর দিতে অপরাগতা প্রকাশ করেন । বিষয়টি নিয়ে উভয়ের মধ্যে এক পর্যায় কথাকাটাকাটি হয় এবং অফিস সহকারি জালাল উদ্দিনকে চাকুরিচ্যৃতির হুমকি দিলে জালাল উদ্দিন শিক্ষা কর্মকর্তার ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন ।
নাম না প্রকাশ শর্তে কয়েকজন শিক্ষক বলেন, শিক্ষা অফিসার নাজমুল হক ঘুষ ছাড়া কিছু বুঝেন না । ঘুষ না দিলে তার কাছ থেকে কোন ফাইল নড়ে না । তার খুঁটির জোর কোথায় ।
ঘুষ ও অর্থ আতœসাৎতের অভিযোগ অস্বীকার করে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নাজমুল হক বলেন, প্রত্যয়নপত্র ও এমপিও ছাড়, উচ্চতর গ্রেড,শিক্ষক এবং কর্মচারীদের নিয়োগে ক্ষেত্রে তিনি কোন টাকা পয়সা নেন না । শিক্ষকদের প্রশিক্ষনের টাকা তিনি আত্মসাৎ করেন নাই । তবে তার ্িবরুদ্ধে অভিযোগগুলো সস্পূর্ন মিথ্যা ও ভিত্তিহীন । তিনি এইসব মিথ্যা অভিযোগের ব্যাপারে তার অফিস সহকারি জালাল উদ্দিনকে দায়ী করেন । উপজেলা নির্বাহী অফিসার আল আমিন বলেন,বিষয়গুলির ব্যাপারে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে ।
Comments (0)
Facebook Comments (0)